কলকাতা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট রাজ্যপালের ফেরত পাঠানো নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে। তাহলে কি পদত্যাগ করছেন নির্বাচন কমিশনার? নাকি তাঁর পদত্যাগের দরকারই নেই কারণ তিনি পদে জয়েনই করেননি! এইসব নিয়ে এখন সব জায়গায় আলোচনা চলছে। এরই মাঝে খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনার বাংলার মানুষকে হতাশ করেছেন। এক কথায় স্পষ্ট করেছেন, তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার পদত্যাগের সম্ভাবনা আপাতত প্রবল হয়েছে। যদিও এই নিয়ে তিনি নিজে কিছুই জানাননি। সংবাদমাধ্যম তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিল, তিনি পদত্যাগ করছেন কিনা। রাজীব স্পষ্ট বলেছেন, এমন কোনও তথ্য পাইনি! আসলে গতকাল, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ভীষণ অসন্তোষ প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনের ওপর। বিচারপতির বক্তব্য ছিল, দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করুন নির্বাচন কমিশনার। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের অনুমতিক্রমেই রাজীবকে কমিশনার পদে বসিয়েছিল নবান্ন। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যু এখন সরগরম করেছে রাজ্যকে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর চোপড়া। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। Panchayet Election” width=”853″>
প্রথমে আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছিল। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, দায়সারা কাজ করে কমিশন আদতে আদালতের নির্দেশের অমান্য করছে বা প্রহসন চালাচ্ছে। এরপরই হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, ২০১৩ সালের ভোটের থেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবার। সেই প্রেক্ষিতেই দ্রুত ৮০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত।