বোলপুর: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু তার আগে ‘গড়ে’ নেই অনুব্রত মণ্ডল। যে সময়ে তাঁর থাকার কথা বীরভূমে, সেই সময়ে তিনি আছেন তিহাড় জেলে, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বীরভূমে নির্বাচনে তৃণমূলের পরিণতি কী হবে তা নিয়ে জল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। বীরভূম জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে হাজারেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস! মনোনয়ন পর্ব মিটে যাওয়ার পর এমন তথ্যই আপাতত সামনে এসেছে।
নির্বাচন ঘোষণা এবং মনোনয়ন পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি দেখা গিয়েছে। কোথাও ঘটেছে মৃত্যুও। এইসব ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্তও জল গড়িয়েছে। বিরোধীদের নিশানায় আছে শাসক শিবির। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, চলতি বছর হিংসার ছাপ বীরভূমে তুলনামূলক অনেকটাই কম। এই জেলা থেকে খুব বেশি অশান্তির বা খুনোখুনির খবর আসেনি। যদিও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। তবে মনোনয়নপর্ব মেটার পর ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের যে আসন তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ১ হাজার ১৯টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে ঘাসফুল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর চোপড়া। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। Panchayet Election” width=”853″>
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর বীরভূমের দায়িত্ব নিজে নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে বীরভূমের ফলে উল্লসিত তৃণমূল শিবির। কিন্তু বিরোধী পক্ষ স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পরে শাসকদল লাগামছাড়া সন্ত্রাস চালিয়েছে। তারই ফল এই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়।