কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যখন বারবার ধাক্কা খেয়েছে, তখন প্রথমবার কমিশনের পক্ষে গেল একটি মামলার রায়। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে অশান্তির আবহে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চেয়েছিল। এই বিষয়টি উল্লেখ করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দেয় তারা। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নোটিস খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
ভোট সন্ত্রাসের কথা মাথায় রেখেই পর্যবেক্ষক নিয়োগের কথা জানিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷ মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে কমিশনের ডিজি (তদন্ত) রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করবেন বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিস দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার৷ সেই সময়ই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওই নোটিস খারিজ করে দিল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। মানবাধিকার কমিশনের ডিজি রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
মানবাধিকার কমিশনের বক্তব্য ছিল, ২০১৮-র পঞ্চায়েত এবং একুশের নির্বাচনের পর বাংলায় সন্ত্রাসের ভয়ঙ্কর ছবি সামনে এসেছিল। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মানবাধিকার কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের যুক্তি ছিল, মানবাধিকার কমিশনের মতো রাজ্য নির্বাচন কমিশনও একটি স্বশাসিত সংস্থা। একটি স্বশাসিত সংস্থা অপর একটি স্বশাসিত সংস্থার উপর নজরদারি চালাতে পারে না৷ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার হলে তারাই করবে। নজরদারি চালানোর কোনও এক্তিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেই। শুক্রবার কমিশনের যুক্তিকেই মান্যতা দেয় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ৷