কলকাতা: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর একাধিক সংস্থার কথা আগেই উল্লেখ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বলা হয়েছিল, সুজয়কৃষ্ণর ৬টি কোম্পানি রয়েছে। সেই কোম্পানির আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসেব-নিকেশ, লেনদেন ছিল ইডির আতশকাচের নীচে। সেই সূত্র ধরেই কালীঘাটের কাকুর একাধিক সংস্থার দায়িত্বে থাকা দুই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে তলব করল ইডি।
সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের ৬টি সংস্থায় যাঁরা হিসেব দেখতেন, তাঁদের মধ্যে ২ জন হিসেবরক্ষককে তলব করা হয়েছে। সুজুকৃষ্ণের বিভিন্ন কোম্পানির টাকার উৎস কী, কীভাবে লেনদেন হত, কারা কারা টাকা পাঠাতেন, এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি। দুই হিসেবরক্ষক একে তুলসিয়ান ও এসকে ভারতীয়াকে তলব করে তাঁদের থেকে বিশদে এইসব তথ্য জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
ইডি-র অনুমান, সুজয়কৃষ্ণের এই সব সংস্থার মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির বেআইনি টাকার লেনদেন চলত৷ এই সব সংস্থাগুলি ছিল কালো টাকা সাদা করার মেশিন৷ সেইসব সংস্থাগুলিতে যাঁরা অডিটের কাজ করেছেন, হিসেব দেখেছেন তাঁদেরকে ডেকে পাঠাল ইডি। আগামী সপ্তাহে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে হবে দুই হিসাবরক্ষককে। তাঁদের সুজয়ের সংস্থার যাবতীয় নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>