কলকাতা: ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা রাজ্যে শূন্য হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় স্থানে এককভাবে উঠে এসেছিল বিজেপি। কিন্তু তারপর থেকে যে কটি নির্বাচন বাংলায় হয়েছে তাতে ধাক্কা খেয়েছে বঙ্গ বিজেপি ব্রিগেড। উল্টো দিকে বলা যায়, সংগঠন আগের থেকে বেশি মজুবত করতে পেরেছে লাল বাহিনী। আর তার পোক্ত প্রমাণ দিচ্ছে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তাদের প্রার্থীর সংখ্যা। তথ্য বলছে, রাজ্যের বহু জায়গায় বিজেপির থেকে বেশি প্রার্থী দিতে পেরেছে বামেরা। শুধু গ্রাম পঞ্চায়েতেই নয়, পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলা পরিষদেও একই ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই ধন্দ তৈরি হয়েছে বঙ্গ গেরুয়া মহলে।
সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসে বামেদের উত্থান নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার শীর্ষ নেতারাও এই বিষয়ে সহমত পোষণ করেছিলেন। এখন দেখা যাচ্ছে, খাতায়-কলমে বামেরা সত্যি টেক্কা দিয়েছে বিজেপিকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দেওয়া প্রার্থী সংখ্যায় অনেক এগিয়ে বামেরা। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলী এবং হাওড়ায় বিজেপির তুলনায় বেশি প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে বাম শিবির। কোনও জেলায় বিজেপির থেকে ৫০০ জন বেশি প্রার্থী দিয়েছে বামেরা, আবার কোনও জেলায় প্রায় হাজার। এই বিষয় নিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কী যুক্তি দেবে সেটাও ভেবে দেখার। কারণ সন্ত্রাসের যুক্তি তারা দিতে পারবে না কারণ সিপিএম এত বেশি প্রার্থী দিয়ে দিয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ভোট কাটতে বাম, কংগ্রেসের জোট প্রার্থীকে সমর্থন বিজেপি ! West Bengal Panchayat Election 2023″ width=”853″>
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামে গ্রামে সিপিএমের সক্রিয়তা বেড়েছে। আবার কোনও কোনও অংশে তাদের গ্রহণযোগ্যতাও। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা এই বিষয়টিকে দারুণভাবেই কাজে লাগাতে চাইছে। এই প্রেক্ষিতে বলা যায়, বিধানসভা ভোটের সময়ে যে শতাংশ ভোট বিজেপি পেয়েছিল, তাতে ইতিমধ্যেই থাবা মারতে পারে সিপিএম।