কলকাতা: ৮ জুলাই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই ঘোষণা করার পর থেকেই বাংলার একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তাই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। বিজেপি তো ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে, বেশিরভাগ জায়গায় তৃণমূল মনোনয়ন জমা করাতে দেয়নি তাদের। এছাড়া জায়গায় জায়গায় মারধর, খুন, বোমাবাজির ঘটনাও ঘটানো হয়েছে। এই অবস্থায় একাধিক দফায় পঞ্চায়েত ভোটের দাবি তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, এক দফায় ভোট হতে পারে না রাজ্যে।
ভোট ঘোষণা হওয়ার পরেই শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এই এক দফা ভোটের বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির আগে সর্বদল বৈঠক করেনি কমিশন। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা আছে। এখন মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের ইস্যুতে আদালতের প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য কয়েক দফায় পঞ্চায়েত ভোট প্রয়োজন। আর চাই আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক। একই সঙ্গে তিনি রাজ্যের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের গণনা একসঙ্গে করার দাবিও তুলেছেন।
তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী আজই আদালতে জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৩১৫ কোম্পানি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্যও আবেদন জানানো হয়েছে। এদিকে আদালতের বক্তব্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যদি মনে হয় এই বাহিনীও যথেষ্ট নয় তাহলে তারা যেন আরও বাহিনী চাইতে দেরি না করে।