কলকাতা: সৌদি আরবে বসেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন মইনুদ্দিন গাজি। বসিরহাটের মিনাখাঁর কুমারজোলর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে তদন্ত রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৮ জুন তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার। ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
জানা গিয়েছে, গত ৪ জুন সৌদি আরবে যান মইনুদ্দিন। সেটা ছিল ভোট বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই। কিন্তু ১২ জুন মিনাখাঁয় মনোনয়ন জমা পড়েছে তাঁর। নিয়ম অনুসারে, মনোনয়ন জমার সময় উপস্থিত থাকতে হয় প্রার্থীদের। স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে তা হয়নি। তাহলে কী ভাবে মিনাখাঁর কুমারজোলর গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি, উঠেছে প্রশ্ন। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, মনোনয়নপত্র জমার সময় কে সই করেছে তাতে। আর স্ক্রুটিনির সময় এই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল কেন করা হয়নি। এই নিয়েই রিপোর্ট জমা দেবে কমিশন।
এদিকে আরও এক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল তারা। হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে ২০ হাজার ৫৮০ জন কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন শেষ তিনদিনে? আসলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে আদালতের নির্দেশ অমান্য করছে এই অভিযোগ আগেও তোলা হয়েছে। মূলত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ছিল। এবার মনোনয়ন ইস্যুতেও চাপ কমিশনের।