কলকাতা: সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য কয়েক দফায় পঞ্চায়েত ভোট প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবিতে সরগরম হয়েছে রাজ্য। অনেকেই ভাবছেন যে পঞ্চায়েত ভোটের দফা হয়তো বেড়েছ যাবে। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়েছিল। সেখান থেকে বেরনোর পর এই দাবি জানান তিনি। তবে কমিশনের কাছে নির্দিষ্ট কোনও দফায় ভোট করার দাবি জানাননি তিনি। তবে অন্য একটি বড় দাবি শুভেন্দু রেখেছেন কমিশনের কাছে।
বিজেপি নেতার দাবি, পঞ্চায়েত ভোট মিটলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ফেরত পাঠানো যাবে না। বরং গণনার পর আরও ১৫ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে রাখতে হবে। কিন্তু এমন দাবি তিনি কেন করলেন? আসলে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র ঘটনার প্রসঙ্গ তুলেই এই দাবি তাঁর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে চেয়েই এই দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। অন্যদিকে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের মতো রাজ্যের সব বুথে, গণনাকেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনী রাখার দাবিও এসেছে তাঁর থেকে।
ভোট ঘোষণা হওয়ার পরেই শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এই এক দফা ভোটের বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির আগে সর্বদল বৈঠক করেনি কমিশন। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা আছে। এখন মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের ইস্যুতে আদালতের প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশনের ওপর আরও চাপ বাড়াচ্ছেন তিনি।