কলকাতা: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বসে প্রেম করতে পারবেন না পড়ুয়ারা৷ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রেমে লাগাম টানতেই রুখে দাঁড়ালেন তৃণমূলের ‘কালারফুল’ নেতা তথা বিধায়ক মদন মিত্র৷ পাশে দাঁড়ালেন পড়ুয়াদের৷
পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ নীতি পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা প্রেম করলেই রণং দেহি কর্তৃপক্ষ! বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রোমিও-জুলিয়েট কিংবা হির-রাঞ্জা হতে দেবেন না বলে তাঁরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রকাশ্যে ঠিক একটি ছেলে ও মেয়ে কতখানি মেলামেশা করতে পারবে, সেই মাপকাঠি বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে কোনও অনভিপ্রেত আচরণ এলে যুগলের অভিভাবকদেরও তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে তুমুল বিতর্ক। সেই আবহে পড়ুয়াদের হয়েই সুর চড়ালেন কামারহাটির বিধায়ক। মদন মিত্র বলেন, “গার্জেনদের ডেকে কি পর্নোগ্রাফি দেখাবে? প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা জানে কতটা কী করা যায়। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, প্রেমে হাত দেবেন না প্লিজ।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাঁরা নীতি পুলিশের ভূমিকা নিচ্ছে না৷ এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে ক্যাম্পাসে, তার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত৷ সব যুক্তির সামনে তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, “প্রেম চিরন্তন। প্রেমের পবিত্র শিখা চিরন্তন জ্বলে। প্রেম বন্ধ করা যাবে না।”