ভোটের আগেই জয়! পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাধিক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রাম পঞ্চায়েতে জয় এসেছে ৬ হাজার ২৩৮ টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদেও একই ঘটনা। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে গোটা রাজ্যে ৯.৪৮ শতাংশ আসনে এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফলাফল নির্ধারণ হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ পরিসংখ্যান বলছে, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি, দুই ক্ষেত্রেই সবার ওপরে নাম রয়েছে কেষ্টগড় বীরভূমের।
দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরেই জেলবন্দী। এমন পরিস্থিতিতেও বিনা লড়াইয়ে পঞ্চায়েত দখল করার ক্ষেত্রে রাজ্যে এগিয়ে রয়েছে অনুব্রতহীন বীরভূম। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে- গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসনের সংখ্যা-
- গ্রাম পঞ্চায়েত:
বীরভূম- ৮৯৩
উত্তর ২৪ পরগনা- ৮৬৭
পূর্ব বর্ধমান – ৮৫৮
হাওড়া- ৭১৭
বাঁকুড়া- ৬৬৪
পশ্চিম মেদিনীপুর- ৬২২ টি আসন।
গ্রাম পঞ্চায়েতের মতো পঞ্চায়েত সমিতিতেও সবথেকে বেশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় এসেছে বীরভূমে। রাজ্যে পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন- ৯ হাজার ৭৩০। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭৫৯ টি আসনে জয়ী তৃণমূল। বিনা ভোটে জয় এসেছে-
- পঞ্চায়েত সমিতি:
বীরভূম- ১২৮ টি আসনে
বাঁকুড়া – ১০৬
উত্তর ২৪ পরগনা- ১০৪
হাওড়া- ৯৮
পূর্ব বর্ধমান- ৯৩ টি আসনে।
রাজ্যে জেলা পরিষদের মোট আসন ৯২৮। এর মধ্যে ৮ আসনে জয় এসেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। যদিও, রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের এই পরিসংখ্যানের মধ্যে নাম নেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার। মনোনয়ন পর্বে একাধিক বার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, ক্যানিং। কিন্তু, জেলায় এখনও কত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় এসেছে তা প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা – ৬৩ হাজার ২২৯। এর মধ্য়ে ৬ হাজার ২৩৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। যা মোট আসনের প্রায় ১০ শতাংশ। যদিও সংখ্যাটা গত বারের তুলনায় অনেকটাই কম৷ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা রাজ্যে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনেই ভোট হয়নি৷ এর সিংহভাগ আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিল শাসক দল৷ এবারে অবশ্য জেতা আসনের সংখ্যা গত বারের তুলনায় অনেকটাই কম।