কাটছে দ্বিধা, লাইভ সেক্স স্ট্রিমিংকেই এখন পেশা করছেন যুগলরা

কাটছে দ্বিধা, লাইভ সেক্স স্ট্রিমিংকেই এখন পেশা করছেন যুগলরা

de0829e067d7146c38796f0d2e6fa8c7

 কলকাতা: এখন ইন্টারনেটের দুনিয়া৷ সবকিছুই এক ক্লিকে ধরা দেয় হাতের মুঠোয়৷ বহু মানুষ বিভিন্ন টপিকে লাইভ সেশন করে৷ এমনকী লাইভ দেখা যায় যৌনাচারও! হ্যাঁ, এমনটাও কিন্তু ঘটছে অন্তর্জালে৷ 

গত পাঁচ বছর ধরে লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন নিউ টাইনের এক যুগল৷ সম্প্রতি তাঁরা সেলবও বটে৷ ইন্টারনেটে ক্যামেরার সামনে প্রকাশ্যে রতিক্রিয়ায় মগ্ন হয়ে ওঠেন এই কাপল৷ আর তাঁদের লাইভ সেক্স ভিডিয়ো দেখতে ওয়েবসাইটে ভিড় জমান শয়ে শয়ে মানুষ৷ 

করোনা অতিমারি পর্বে লাইভ সেক্স স্ট্রিমিং-এর চিন্তা মাথায় আসে এই ‘কাপলে’র৷ ঠিক করেন সম্প্রচার করবেন তাঁদের যৌনাচার৷ সেই সময় অবশ্য তাঁদের ওয়েবসাইটে উঁকি দিতেন গুটিকয়েক মানুষ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তাঁরা৷ বাড়তে থাকে ওয়েবসাইটে দর্শকের কিউ৷ ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কলাবতী: নামে তাঁদের লাইভ স্ট্রিমিং-এর চাহিদা এখন গগনচুম্বী৷ প্রতিদিন রাত সাড়ে ন’টা৷ ক্যামেরার সামনে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন এই যুগল৷ তাঁদের যৌনাচার দেখতে সাইন করছেন অনেকেই৷ এমনকি হাজার হাজার টাকা ঢালতেও কার্পণ্য করছেন না তাঁরা৷ 

মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কলাবতীর মিস্টারের কথায়, ‘‘প্রথমে আমরা নিজেরা এই ধরনের লাইভ দেখতাম৷ লকডাউনের সময় একাকীত্ব দূর করতে নিজেরাই লাইভ করার সিদ্ধান্ত নিই৷ এতে অর্থ উপার্জনও সম্ভব৷ একটা সময় পর ভাবলাম এটাকে বিকল্প পেশা হিসাবে ধরলে সমস্যা কোথায়?’’

অর্থ না হয় এল, কিন্তু সামাজিক গঞ্জনা? মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কলাবতীর কথায়, প্রথম দিকে, নিজেদের পরিচয় আড়াল করতে মাস্কে মুখ ঢেকে পারফর্ম করতেন৷ কিন্তু মাস্ক পরলে মুখের অবিব্যক্তি ধরা পড়ে না৷ মানুষ কম আকৃষ্ট হন৷ অগত্যা মাস্ক হঠিয়ে লাইভে আসতে শুরু করি আমরা৷’’

এ প্রসঙ্গে ‘মিসেস’ বলেন, রাস্তায় বেরোলে বুঝতে পারি, অনেকেই চিনতে পারছেন৷ কিন্তু কেউ সাহস করে কিছু বলেন না৷ যাঁরা কথা বলতে আসেন, তাঁদের সঙ্গে সতর্ক হয়েই কথা বলি৷’’ তবে এতদিন পর তাঁদের আর কোনও কুন্ঠা বা লজ্জা নেই৷ সে কথা স্পষ্টই জানালেন মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কলাবতী৷ শুধু নিউটাইনের এই কাপলই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু যুগল এমনকী একাকী মহিলারাও অনলাইন স্ট্রিমিং পেশায় আসছেন৷ পশ্চিমী দেশগুলিতে এহেন স্ট্রিমিং-এর প্রচলন বেশ পুরনো৷ ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও চালু হয়ে যায় ভালোবাসার প্রকাশ্য প্রদর্শন বা ‘পাবলিক ডিসপ্লে অফ অ্যাফেকশন’-এর প্রচলন৷ এখানে পর্নোগ্রাফির মতো সাদানো সেক্স বা অভিনয় নয়, দেখা যায় পার্টনারের সঙ্গে বাস্তব সঙ্গমের দৃশ্য৷ এ ধরনের সম্প্রচারই এখন বেশি টানছে দর্শকদের৷ 

বাঙালির যৌনাচার নিয়ে গবেষণা করছেন জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যাপক অর্ণব সাহা৷ তাঁর মতে, ‘‘গত এক দশকে যৌনাচার সম্পর্কে প্রথগত ধারণার অনেক বদল ঘটেছে৷ শরীরী উদযাপনকে প্রকাশ্যে তুলে ধরতে অনেকেই আর কুন্ঠিত নন৷’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *