কলকাতা: আগামী ৮ জুলাই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোট৷ গোটা রাজ্যের সঙ্গে এবার ভোট হবে পাহাড়েও৷ তবে বাংলার অন্যত্র ত্রিস্তর ভোট হলেও পাহাড়ে রয়েছে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। ভোটে কড়া নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে শিলিগুড়িতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন পাহাড়ে তৃণমূল বিরোধী মহাজোটের নেতারা।রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা৷ আজ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার নেতৃত্বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ-সহ একাধিক তৃণমূল বিরোধী দল রাজ্যপালের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানায়।
গত জিটিএ ভোটের পর থেকেই বদলে গিয়েছে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ৷ পুরভোটে বিপুল জয়ের পরেও দার্জিলিং পুরসভা হাতছাড়া হয় হামরো পার্টির। পাহাড়ের অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে পরিচিত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও এখন প্রায় নিস্তেজ। বরং পাহাড়ে শক্তি বাড়াচ্ছে অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। কিছুটা জমি দখল করছে তৃণমূলও। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে তৃণমূল বিরোধী মহাজোট গড়ে এক ছাতার তলায় এসেছেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ডরা। তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে রাজ্যপালের সঙ্গে পৌনে এক ঘণ্টা বৈঠক করেন মহাজোটের নেতারা। তাঁদের দাবি, পাহাড়ের পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
বৈঠক শেষে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘শান্তির পরিবেশেই নির্বাচন হওয়া উচিত। নির্বাচন এবং ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনীরে রাজ্যে রেখে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের রায় মেনেই ভোট হওয়া দরকার। এ সব কারণেই আমি ‘গ্রাউন্ড জিরো’ থেকে কাজ শুরু করেছি।’’