কলকাতা: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলছে। ভোট ইস্যুতে নানাভাবেই আদালতের কাছে ‘ধমক’ খেয়েছে বা এখনও খাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে সবথেকে বড় প্রশ্ন উঠেছিল ২০ হাজারের বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহারের ইস্যু নিয়ে। সেই প্রেক্ষিতেই আজ আদালতে নির্বাচন কমিশন জানাল, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সংখ্যক মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছিল তার থেকে চলতি বছর হার কম।
বৃহস্পতিবার আদালতে পরিসংখ্যান-সহ হলফনামা পেশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাতে জানান হয়েছে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৭৩ টি বৈধ মনোনয়নের মধ্যে ২৩ হাজার ৬১৯ টি প্রত্যাহার করা হয়েছিল, যা প্রায় ১৮ শতাংশ। তবে ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২ লক্ষ ২৮ হাজার ১৫৮ টি বৈধ মনোনয়নের মধ্যে ২০ হাজার ৬১২ টি প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা ৯ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ মনোনয়ন প্রত্যাহারের হার পাঁচ বছর আগের থেকে এই বছর কম। তবে নির্বাচন কমিশনের এই তথ্যের পরেও বিরোধীরা কিন্তু শান্ত থাকছে না। তারা এখনও শাসক দলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগই তুলছে।
বিরোধীদের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যের শাসকদলকে সাহায্য করছে নির্বাচন কমিশন। শাসকের ক্রমাগত ভয় দেখানোর জেরে অনেক বিরোধীরা মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন কিন্তু তা নিয়ে কমিশন কোনও পদক্ষেপই নেয়নি। যদিও এই দাবিতে কোনও পাত্তা দিচ্ছে না তৃণমূল শিবির। বরং তাদের বক্তব্য, বিরোধীদের লড়াই করার জায়গা নেই, প্রার্থী নেই, তাই এই ধরনের অভিযোগ আনছে।