শুভেন্দুকে দেখে ফের উঠল ‘‌চোর চোর’‌ স্লোগান, সরগরম জঙ্গলমহল

শুভেন্দুকে দেখে ফের উঠল ‘‌চোর চোর’‌ স্লোগান, সরগরম জঙ্গলমহল

5d244fb0503418477347d518a2b286ce

 জঙ্গলমহল:  একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই সময় তাঁকে গদ্দার, মীরজাফর বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফল প্রকাশের পর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছিল- ‘চোর চোর চোরটা শিশিরের ছেলেটা’। এর পর অবশ্য বহু দিন কেটে গিয়েছে৷ সেই স্লোগান আর শুনতে হয় না বিরোধী দলনেতাকে। বরং শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর পুরনো শিবিরকেই চোরেদের দল বলে চিৎকার করেন তিনি। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে জঙ্গলমহলে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ফের শুভেন্দুকে শুনতে হল ‘চোর চোর’ স্লোগান। এতে অবশ্য খানিকটা অস্বস্তিতেই পড়েন বিরোধী দলনেতা৷

এদিন দলীয় কার্যালয়ের গা ঘেঁষে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু৷ সেই সময় রাস্তার পাশে থাকা বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। দলীয় পতাকা হাতে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে ‘চোর চোর’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রমেশ রাউতের বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু বিরুদ্ধে এই স্লোগান দেওয়া হয়। 

এই ঘটনার পর জনসভা শেষে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘আমি রমেশ রাউতকে বলে দিয়ে গেলাম, আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী। কিষেনজিকে সোজা করা লোক আমি। লালগড়ের অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডেকে সোজা করেছি। আমার সঙ্গে এসব করে কোনও লাভ হবে না। জঙ্গলমহলে পুলিশিরাজ চলবে না।’ 

যদিও তৃণমূলের দাবি, তাঁদের কর্মীরা এই স্লোগান দেননি৷ নয়াগ্রামের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দুলাল মুর্মু সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘শুভেন্দুর সভায় তেমন লোকজন ছিল না। তাই মাথা খারাপ হয়ে উল্টোপাল্টা বকছেন।’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *