মালদহ: ৮ জুলাই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সব জায়গায় প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দল। ভোট নিয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনও। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আগেই আদালতের নির্দেশ না মানার অভিযোগ উঠেছে। তাই কমিশন আপাতত খুবই সতর্ক। কিন্তু তাও এমন একটি ঘটনা ঘটেছে তাতে আবারও কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। একই সঙ্গে, এক ব্যক্তির পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়া নিয়েও জটিলতা বাড়ল।
রাজ্যে নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল যে, সিভিক ভলান্টিয়াররা পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না। আদালতের আগের এক নির্দেশ অনুসারেই এই কথা জানিয়েছে কমিশন। কিন্তু মালদহের মোথাবাড়ির বাসিন্দা মহম্মদ গোলাম গৌসল এই নির্দেশিকার জন্যই ফাঁপরে পড়েছেন। আসলে তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করতেন। তবে গত মে মাসেই তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন, এখন পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু জানা গিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে থানায় এখনও নথিভুক্ত তাঁর নাম, এমনকি গত ২২ জুন তাঁকে ডিউটিও দেওয়া হয় বলে দাবি! এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে।
আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি প্রশ্ন তোলেন, যদি ওই ব্যক্তি ইস্তফা দিয়ে থাকেন তাহলে তাঁর নাম কী ভাবে থানায় নথিভুক্ত থাকে এবং কী ভাবে তাঁকে ডিউটিও দেওয়া হয়? যদিও ব্যক্তির দাবি, তাঁর বেতনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি চাকরির সঙ্গে যুক্ত নন। আপাতত এই ইস্যুতে আগামী ৩ জুলাই রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।