কলকাতা: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাহিনী পাঠানো হয়েছে রাজ্যে৷ তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চাহিদা ছিল ৮২২ কোম্পানি৷ সেই পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও এসে পৌঁছয়নি৷ এমতাবস্থায় প্রয়োজনে পড়শি রাজ্য থেকে পুলিশ আনা হতে পারে৷ মূলত, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার কাছ থেকে এই বাহিনী নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে সংখ্যাটা এখনও চূড়ান্ত নয়। এবিষয়ে শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের সঙ্গে প্রায় একঘণ্টা বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা৷ বিকেলে তিনি বৈঠক করেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিমের সঙ্গেও।
কমিশন সূত্রে খবর, সোমবারের মধ্যেই রাজ্যে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছনোর কথা। এর পাশাপাশি নির্বাচনের কাজে বহাল থাকবে ৬০ হাজার রাজ্য পুলিশ ও ১৫ হাজার কলকাতা পুলিশ। তবে এটাই যথেষ্ট নয়৷ প্রয়োজন আরও বাহিনীর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ৩৩৭ কোম্পানির বেশি বাহিনী পাঠানো যাবে না। ফলে কেন্দ্র যদি বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী না পাঠায়, সেক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে বাহিনী চাওয়া হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর৷
এর পাশাপাশি ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কিনা, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে৷ তাদের কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা নিয়েও কথা হয়েছে৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে ভোটের আগে শুধুমাত্র রুট মার্চ, নাকা চেকিংয়ের মতো কাজেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে ভোটের দিন তাঁদের দায়িত্ব কী হবে, সেবিষয়ে ফের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে৷