আলিপুর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আজ শেষ রবিবার। গ্রামবাংলার কোমর বেঁধে প্রচারে ঝড় তুলেছেন শাসক-বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। রবিবার আলিপুরদুয়ারের কুমারগঞ্জে জনসভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের বীরপাড়া জুবিলি ক্লাব ময়দানে জনসভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতেই তৃণমূলের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা।
এদিন সভায় বক্তব্য রাখার সময় আদিবাসী, তফশিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি তাঁর দাবি, আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার করছে তৃণমূল৷ আদিবাসী জনজাতির প্রতিনিধি হিসেবে উঠে আসা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর জীবন কাহিনীও তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেই সময়ই অসাবধনতা বশত তাঁকে রাষ্ট্রপতি সম্বোধন না করে দেশের ‘প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করেন।
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘‘এবার চোরদেরকে পঞ্চায়েত থেকে উৎখাত করতে হবে। মানুষের শৌচগার তৈরির টাকাও তৃণমূল লুটেপুটে খেয়েছে। তাই কোনওভাবেই এদের এবার ভোট দিয়ে জেতানো যাবে না। এবারের ভোটে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী শনিবার বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। ২০১৮ সালে আমি তৃণমূলে ছিলাম৷ মন্ত্রীও ছিলাম। জোর করে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ দখল করা হয়েছে। আপনাদের মতামতকে এরা কোনও গুরুত্ব দেয়নি। তাই বলব বিজেপিকে ভোট দিন। বিজেপির পঞ্চায়েত মানের জনগণের পঞ্চায়েত।’’