কলকাতা: বিমানের টিকিট বাতিল করে পদাতিক এক্সপ্রেসে চেয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে শিয়ালদায় ফিরেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস৷ বিমানে থাকলে বেশ কিছুক্ষণ ফোন বন্ধ রাখতে হবে, সেই কারণেই নাকি তিনি ট্রেনে সফর করেন। ট্রেনে বসেই গতকাল রাতে বাসন্তীতে নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারকে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল। দেন পাশে থাকার বার্তা৷ আজ সকালে শিয়ালদায় নেমেই সোজা বাসন্তীর পথে রওনা দিলেন বোস। সেখানে গিয়ে নিহত যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লার (৪০) পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি৷
পঞ্চায়েত ভোটের আগে সন্ত্রাসে লাগাম টানতে উদ্যোগী রাজ্যপাল। সন্ত্রাসের খবর পেয়েই তিনি ছুটে গিয়েছিলেন ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে। ছুটে যান কোচবিহারেরও৷ রবিবার দিনহাটায় থাকতেই বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মী খুনের খবর পান। তখনই বাসন্তী যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল৷
শনিবার রাতে খুন হন জিয়ারুল মোল্লা নামে এক যুব তৃণমূল কর্মী। বাসন্তী থানার ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘাগরামারী এলাকারঘটনা৷ জানা গিয়েছে, শনিবার বিশেষ কাজে ক্যানিংয়ে এসেছিলেন রামচন্দ্রখালি পঞ্চায়েতের খিরীশখালি গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল। রাতে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ঘাগরামারী এলাকায় তাঁর পথ আটকায় কিছু দুষ্কৃতি৷ দুটি বাইকে করে এসেছিল তারা৷ এর পরেই জিয়ারুলকে ঘিরে ফেলে তারা। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে মাথায় গুলি করে খুন করা হয় জিয়ারুল মোল্লাকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জিয়ারুল। রাতের অন্ধকারে গুলির শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
সোমবার নিহত জিয়ারুলের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাসন্তী যাচ্ছেন রাজ্যপাল৷ জিয়ারুলের পরিবারও রাজ্যপালের আসার অপেক্ষায়। যদিও এর আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, রাজ্যপাল মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেও তৃণমূল কর্মীদের দিকে তাঁর নজর নেই৷ এর পরেই নিরপেক্ষ থাকার বার্তা দিয়ে গীতলদহে মৃত তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে যান তিনি। রাজনৈতিক হিংসায় জখম তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েও দেখা করেন রাজ্যপাল। এবার বাসন্তীতে মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন সিভি আনন্দ বোস।