বহরমপুর: মুর্শিদাবাদের নওদায় ভোট অশান্তিতে প্রাণ গিয়েছে এক কংগ্রেস কর্মীর। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে পৌঁছন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সখানে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে অধীরের প্রশ্ন, “এত খুন করে মহান হবেন? দু একটা সিটে হারলে তো সরকার পড়ত না, তাহলে এত খুন কেন?”
শনিবার সকাল থেকেই জেলায় জেলায় তৈরি হয় হিংসা-অশান্তির আবহ। ভোটের সকালে নওদায় চায়ের দোকানে আক্রান্ত হন এক বৃদ্ধ ভোটার। নাম হাজি নিয়াকত শেখ। তাঁকে দ্রুত সেখান থেকে উদ্ধার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। রবিবার সকালে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ৷ মৃতের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি৷ সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এত খুন করে আপনি মহান হবেন? কয়েকটা সিটে হারলেও আপনারই সরকার থাকত, তা হলে এত খুন কেন?” এখানেই থামেননি অধীর৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভেড়ার বাচ্চা বলেও কটাক্ষ করেন।
অধীরের আশঙ্কা, গণনার দিনেও অশান্তি হবে৷ তিনি বলেন, “নির্বাচনের পরও সন্ত্রাস চলছে। গণনার দিনও সন্ত্রাস হবে। রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর।” এর পর মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে অস্ত্রোপচার নিয়ে বক্রোক্তি করেন অধীর৷ তিনি বলেন, “১১ তারিখের পর পা ঠিক হয়ে যাবে। সবটাই নাটক চলছে।”
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সাংসদ৷ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মালদহের রথবাড়ি মোড়ে পথ অবরোধ করে হাত শিবির। নেতৃত্বে ছিলেন সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী।