মুর্শিদাবাদের ১০০-র বেশি বুথে পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা: সূত্র

মুর্শিদাবাদের ১০০-র বেশি বুথে পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা: সূত্র

0c441f98b3a2e9a389913435d15d8211

কলকাতা: সবথেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলেও মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি হিংসার ঘটনার কথা সামনে এসেছে। এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো এখানেও একাধিক মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি বুথে বুথে ছাপ্পা, সংঘর্ষ, ব্যালট লুটের মতো ঘটনা তো আছেই। শনিবার ভোট শেষ হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সোমবারই মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তত ১৭০ বুথে পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা আছে।

কমিশনের তরফে জানা গিয়েছিল, সবথেকে বেশি ৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদে। কিন্তু ভোটের দিনের যে হিংসার তথ্য সামনে আসছে তা লজ্জাজনক। জানা গিয়েছে, ভোটের দিন সবথেকে বেশি মৃত্যু এই জেলাতেই হয়। তাঁদের মধ্যে আবার শাসকদলেরই কর্মী বেশি। এখন একটাই প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাহলে কী করল? মোতায়েন করা বাহিনীর ভূমিকা তাহলে কী? পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই দফায় দফায় জেলার একাধিক অঞ্চল উত্তপ্ত হয়েছে। খড়গ্রাম, নবগ্রাম, রানিনগর সব এলাকাতে হিংসা হয়েছে। এমনকি খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জেলা সফরে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।

এদিকে মুর্শিদাবাদের নওদায় ভোট অশান্তিতে প্রাণ গিয়েছে এক কংগ্রেস কর্মীর। ভোটের সকালে নওদায় চায়ের দোকানে আক্রান্ত হন এক বৃদ্ধ ভোটার। নাম হাজি নিয়াকত শেখ। তাঁকে দ্রুত সেখান থেকে উদ্ধার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে পৌঁছন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সখানে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে অধীরের প্রশ্ন, “এত খুন করে মহান হবেন? দু একটা সিটে হারলে তো সরকার পড়ত না, তাহলে এত খুন কেন?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *