ভোটের দিন মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু এনআরএসে

ভোটের দিন মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু এনআরএসে

769d2298674b3075ac4931e554b47afe

 শমসেরগঞ্জ: গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কর্মী মইদুল শেখ। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যু হল তাঁর। মইদুল জঙ্গিপুর এলাকার বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা। মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত মোট ৩০ দিনে শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদেই ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ তার মধ্যে শনিবার ভোটের দিন মৃত্যু হয় চার জনের। রবিবার রাতে মৃত্যু হয় রানিনগরের তৃণমূল কর্মী সিরাজুল শেখের৷ মইদুলের মৃত্যুর পর উত্তরের এই জেলায় ভোট-সন্ত্রাসের বলি ১২।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনায় তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম-কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। বচসা চরমে উঠতেই দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেই সময়ে তৃণমূল কর্মীদের উপর বাঁশ, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় জোটের কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলের দাবি, ওই ঘটনায় তাদের ন’জন কর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মইদুল এবং সাইদুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতা নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় মইদুলের। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সাইদুর। 

এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ভোট লুট করতে গিয়ে বহু জায়গায় প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। যে ঘটনায় কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে ,তার ন্যূনতম দায় কংগ্রেসের নেই।’’
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *