কলকাতা: কড়া নিরাপত্তায় ২২টি জেলার ৩৩৯টি কেন্দ্রে শুরু ভোট গণনা। প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তার পর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সব শেষে জেলা পরিষদের আসনে হবে ভোট গণনা৷ ৩৩৯টি ভোটগণনা কেন্দ্রে স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। ৩০,৩৯৬টি টেবিলে চলবে গণনা।
প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের আশপাশে কোনও জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রতি কেন্দ্রে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সক্রিয় থাকেন ৮২ জন সদস্য। সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশও। গণনাকেন্দ্রে বসানো হবে সিসি ক্যামেরাও।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু৷ এর পর ভোটের দিন। রক্তাক্ত হয়ে ওঠে গ্রাম বাংলা৷ ভোট পরবর্তী হিংসার সাক্ষীও থেকেছে রাজ্য। মনোনয়ন পর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার বলি ৪১৷ ভোটের দিনে প্রাণ গিয়েছে ১৮ জনের। ভোটের দিন রাজ্যের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মেলেনি। তবে গণনার দিন ৩৩৯টি কেন্দ্রেই কড়া প্রহরা তাঁদের৷ আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেক গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় চলছে ভোটগণনা।
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারের মধ্যেই গণনা শেষ হওয়ার কথা। তেমনটা না হলে, টানা গণনার কাজ চলবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। বাকি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার বা বিডিও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রত্যেক স্তরে দু’রাউন্ড করে ভোট গণনা হবে। কোথাও কোথাও তিন রাউন্ড। প্রতি গণনাকেন্দ্রের জন্য এক জন করে পর্যবেক্ষক রয়েছেন। দার্জিলিং, কালিম্পং ছাড়া প্রতি জেলায় এক জন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক রাখা হয়েছে৷