মুর্শিদাবাদ: মনোনয়ন পর্ব থেকে নির্বাচন, ভোট সন্ত্রাসের ভয়ঙ্কর ছবি দেখেছে মুর্শিদাবাদ৷ মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত ৩০ দিনে শুধুমাত্র এই জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের৷ তার মধ্যে শুধুমাত্র শনিবার মৃত্যু হয়েছে চার জনের৷ অশান্তি ছড়াল গণনার দিনেও৷ গণনাকেন্দ্রে আসার পথে তৃণমূল প্রার্থী ও তাঁর স্বামীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হল৷ পাশাপাশি গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার রুকুনপুর হাইস্কুল মোড় সংলগ্ন এলাকায়। সূত্রের খবর, গণনাকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন হরিহরপাড়ার গোবিন্দপুরের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মামনি বিবি ও তার স্বামী মহিবুল মণ্ডল। অভিযোগ, সেই সময়ই তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী ও তাঁর স্বামীকে আটকে রেখে হেনস্থা করা হয়। তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের তরফে সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে, আজ সকালে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে বোমাবাজি হয়। দু’পক্ষের লড়াইয়ে জখম হয়েছেন দুই জন।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানাচ্ছে, গণনার দিন তাঁদের প্রার্থী গণনাকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের গাড়ি আটকায় সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। রাস্তার মধ্যেই মহিলা প্রার্তীর গায়ে হাত তোলা হয়৷ এমনকী তাঁদের গাড়িও ভাঙচুর করার অভিযোগ করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামলা দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে হরিহরপাড়ার থানার পুলিশ।
এদিকে, আজ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ভিড় জমাচ্ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা লাঠি উঁচিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন। ভিড় সরাতে লাঠিচার্জও করেন তাঁরা৷ ওই জমায়েতের মধ্যেই উপস্থিত ছিলেন সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তাঁকেও লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এদিকে এই ভিড় সরাতে গিয়ে সামশেরগঞ্জের বিধায়ককেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা জাতীয় স়যক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি বাধা দেন। সেই সময় তাঁর পিঠে লাঠির ঘা পড়ে বলে অভিযোগ।