বিষ্ণুপুর: একুশের নির্বাচনে বিজেপি’র কাছে গো হারা হারতে হয়েছিল তাঁকে৷ এমনকী বিজেপি’র আক্রমণের মুখে প্রাণ হাতে পালিয়ে বেঁচেছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর প্রাক্তন স্ত্রী৷ সেই সুজাতাই এবার জিতে গেলেন বাঁকুড়ার জেলা পরিষদের নির্বাচনে। বাঁকুড়ার জয়পুর থেকে তাঁকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করেছিল দল। প্রায় ১৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতলেন সুজাতা মণ্ডল।
পঞ্চায়েতে বাঁকুড়া জেলায় ভোট ছিল মোটের উপর শান্তিপূর্ণ৷ বিক্ষিপ্ত কিছু বোমাবাজির ঘটনা ছাড়া খুনোখুনি হিংসার ঘটনা ঘটেনি। সেই আবহে সুজাতা ১৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতে যাওয়ায় অনেকেই হতবাক। তবে বাঁকুড়ার এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে সুজাতা যা ভাবে পরিশ্রম করেছেন, তাতে মনে হচ্ছিল উনি বিধানসভা কিংবা লোকসভায় প্রার্থী হয়েছেন। ওঁর মতো পরিশ্রম কাউকেই করতে দেখা যায়নি।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী হন সৌমিত্র খাঁ৷ কিন্তু একটি মামলার প্রেক্ষিতে সেই সময় তাঁর বাঁকুড়া জেলায় ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা দারি করেছিল আদালত। সৌমিত্রর পরিবর্তে সেই সময় প্রচারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সুজাতা। সেই সময়ও নজর কেড়েছিলেন তিনি৷ এর পর লোকসভায় দিতে সাংসদ হন সৌমিত্র৷
পঞ্চায়েতে সুজাতাকে জয়পুর থেকে প্রার্থী করার পিছনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুচিন্তিত কৌশল ছিল বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর। এক সময়ে বাঁকুড়ার পর্যবেক্ষক ছিলেন খোদ অভিষেক। এখনও বাঁকুড়ার বহু বিষয় তাঁর হাতে রয়েছে। জয়পুর পরে বিষ্ণুপুর লোকসভার মধ্যে৷ আবার বিষ্ণুপুর হল সংরক্ষিত আসন। তৃণমূলের একটি শীর্ষ সূত্রের দাবি, এদিনের ফলাফলের পর বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে সুজাতাকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সমীকরণ মেলাতেই এবার জেলা পরিষদে প্রার্থী করা হয়েছে সুজাতাকে।