ভাঙড়: দফায় দফায় বোমাবাজি আর সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার রাত থেকে ফের উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। পুলিশ-আইএসএফের খণ্ডযুদ্ধের সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী রেজাউল গাজির। মৃতের পরিবার প্রথমে পুলিশের হাতে দেহ তুলে দিতে চায়নি। তবে পরে এলাকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নওশাদ নিজে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন।
এদিন রেজাউল গাজির পরিবারের সঙ্গে নওশাদ নিজে ফোনে কথা বলেন। তবে সরাসরি দেখা করতে না আসতে পারলেও আইএসএফের দু’জন প্রতিনিধিকে রেজাউলের বাড়িতে পাঠান। তারপরই এই ইস্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি করে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক। আইএসএফের এক প্রতিনিধির কথায়, ন্যায়বিচারের জন্য রেজাউলের বাবা-মা পুলিশের হাতে ছেলের দেহ তুলে দিতে রাজি হয়েছেন।
গতকাল রাতা থেকেই মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে শুরু করে ভাঙড়ে৷ ভোট লুঠের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায়৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বেশ কিছু আইএসএফ কর্মী৷ এর পরেই পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায় তারা৷ রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়৷ শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি৷ গতকালের ঘটনার পর আরও বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ। জায়গায় জায়গায় চলছে নাকা চেকিং, ভাঙড় জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি। কাঁঠালিয়া ঢোকার মুখে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। তবে শুধু এই রাজ্যের পুলিশ নয়, পাহারাদারি করছে ভিন রাজ্যের পুলিশও। ইতিমধ্যে ন’টি বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।