কলকাতা: তাপপ্রবাহ, তারপর গ্রীষ্মের ছুটি, স্কুল খুলতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণা! এদিকে আবার এখন ভোটের পরেও ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। সব মিলিয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা রসাতলে যাচ্ছে এবং এর প্রতিকার হওয়া দরকার। এমনই দাবি তুলে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করল মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি বা STEA। তাদের বক্তব্য, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিশানা করে শিক্ষার দফারফা করার চেষ্টা চলছে। এভাবে শিক্ষাকে বাঁচানো যাবে না।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ আজ এক বিবৃতিতে বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণ করে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেসরকারি করার অনুকূলে পরিকল্পিত পদক্ষেপ আগেই নিয়েছে রাজ্য সরকার। এরপর প্রথম পর্বের পরীক্ষার পর এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। তারপর ১০ দিনের গ্রীষ্মের ছুটি বাড়িয়ে টানা দেড় মাস করা হয়। অবশেষে যখন সবেমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হয়ে পঠন-পাঠন শুরু করার প্রচেষ্টা চলছে ঠিক তখনই পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করা হল। এইভাবে শেষ কয়েক মাসে রাজ্য পড়াশুনা বন্ধই হয়েছে প্রায়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রশিক্ষণ ও নির্বাচন গ্রহণের পাশাপাশি নির্বাচনী গণনার জন্য প্রশিক্ষণ ও গণনা কার্যের জন্য শিক্ষকদের নিযুক্ত করায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এমনিতেই ব্যাহত হয়েছে। এখন আবার ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী টানা ১০ দিন রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এভাবে শিক্ষা বাঁচতে পারে না।