‘তোমার নগ্ন ছবিগুলো এখনও শোভনের ফোনে প্রেজেন্ট’, সতীত্বের প্রশ্নে কড়া জবাব বৈশাখীর

‘তোমার নগ্ন ছবিগুলো এখনও শোভনের ফোনে প্রেজেন্ট’, সতীত্বের প্রশ্নে কড়া জবাব বৈশাখীর

কলকাতা: তাঁরা এক কথায় লাভ বার্ডস৷ তাঁদের প্রেম মনে করায় রোমিও-জুলিয়েটের কথা৷ তাঁদের প্রেম নিয়ে অবশ্য জল্পনার অন্ত নেই৷ রয়েছে অনেক কুৎসাও৷ তবে কুছ পরোয়া নেহি৷ একে অপরের হাত শক্ত করেই ধরে রেখেছে তাঁরা৷ প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স যে কোনও বাধা নয়, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন শোভন-বৈশাখী। ‘বিবাহিত’ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘বিবাহিত’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেম অনেকের চোখেই অপরাধ। তবে সমাজের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করেই চুটিয়ে সংসার করছেন তাঁরা। স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডিভোর্সের মামলা এখনও বিচারাধীন৷ সেই মামলা মীমাংসার আগেই বান্ধবী বৈশাখীর সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।

এক সময়ের শোভন ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের কানন৷ তবে আজ তিনি রাজনীতি নয়, অনেক বেশি চর্চায় থাকেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে৷ সম্প্রতি ‘আজ তক বাংলাকে’ দেওয়া এক একটি সাক্ষাৎকারে শোভনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করলেন বৈশাখী৷ সেখানে তাঁর দাবি, শোভন তাঁকে ছাড়া অন্য কোনও মহিলাকে আই লাভ ইউ বলেননি। তাঁর কাছে ভালোবাসার অর্থই হল শোভন। তিনি বলেন, ‘হয়ত খুব নাটুকে লাগতে পারে, তবে আমার কাছে ভালোবাসার অর্থ হল শোভন। যে ভালোবাসার প্রতি আমি একসময় আস্থা হারিয়েছিলাম। একটামাত্র লোক…. নিজের জীবন দিয়ে, যে কোনও কথায় আমাকে ভোলায়নি। শোভন আমার সঙ্গে কোনওদিন সেরকম রোম্যান্টিক কথা বলেনি, তবে শোভন আমাকে প্রতিদিন ভালোবাসে, জীবন-যাপনের মধ্যে বাসে এবং নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে’। 

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তাঁকে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি৷ সে প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন বৈশাখী৷ জানান, একাধিকবার ভোটে হারা এক নববিবাহিত সিপিএম যুবনেতা প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন৷ বলেছিলেন- ‘অন্যের বউ নিয়ে তা তা থৈ থৈ করে বেড়াচ্ছে (শোভন বন্দ্যোপাধ্যায়)’। দল-বদলের প্রসঙ্গে কথা বলচে গিয়ে এহেন ব্যক্তিগত আক্রমণ অপ্রাসঙ্গিক৷ তাঁর সাফ কথা, ‘আমি যদি শোভনের সঙ্গে নাচ করে থাকি, সেটা  কোনও গণহত্যার মতো পাপ নয়, কঙ্কালকাণ্ডের মতো লজ্জাজনক ঘটনা নয়। নন্দীগ্রামের গুলি চালোনার মতো লজ্জাজনক ঘটনা নয়’। 

এরপর আরএ একটি ঘটনার কথা স্মরণ করে বৈশাখী বলেন, ‘দিন কয়েক আগে একটি অনুষ্ঠানে এক জনপ্রতিনিধির (মহিলা) সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল৷ উনি আমাকে জ্ঞান দিতে এসেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত সে এমন একজনকে জ্ঞান দিতে এসেছিলেন, যে শোভনের ফোনে তাঁর উন্মুক্ত ছবি আসতে দেখেছে। সে বলল- আই অ্যাম নট চিপ লাইক ইউ। আমি তাঁকে পালটা বলি, একটু দম নাও। মনে রেখো তোমার নগ্ন ছবিগুলো এখনও প্রেজেন্ট রয়েছে। তুমি যদি সতী হও, আমি তার চেয়ে অনেক বেশি সতী। আমাকে কোনওদিন নগ্ন ছবি মন্ত্রী বা এমএলএ-র কাছে পাঠিয়ে টিকিট পেতে হয়নি’। যদিও সেই জমপ্রতিনিধির নাম মুখে আনেননি বৈশাখী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =