কলকাতা: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকেই গ্রাম বাংলায় অশান্তির মেঘ৷ অশান্তির আগুন জ্বলেছে গণনানার দিনেও৷ উঠেছে ব্যালট চুরির অভিযোগ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার নজিরবিহীন নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনা পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পরও ১৫টি বুথে ফের নির্বাচনের নির্দেশ দিলেন কমিশনার রাজীব সিনহা৷ হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে গণনার দিন ব্যালট চুরির অভিযোগ ওঠে। ওই ১৫টি বুথের নির্বাচনকে কার্যত বাতিল ঘোষণা করে দিল রাজীবের কমিশন।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সাঁকরাইলের ওই ১৫টি বুথে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়েছে। ফলে ওই বুথগুলিতে ভোট গণনার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে ওই ১৫টি বুথে নতুন করে নির্বাচন হবে। মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন সাঁকরাইলে তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পালের বিরুদ্ধে ব্যালট লুঠের অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, ব্যালট খেয়েও শেষ পর্যন্ত ‘হজম’ হল না তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি। হেরে যাওয়ার ভয়ে ব্যালট খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। হাবড়ার সেই ঘটনা অবাক করেছিল গোটা বাংলাকে। হাবড়ার ভুরকুণ্ডার সেই বুথে ভোট বাতিল করল নির্বাচন কমিশন। ওই বুথ-সহ চারটি বুথে ফের ভোটের নির্দেশ।
সিঙ্গুরের একটি বুথেও পুনর্নির্বাচন হবে বলে খবর সূত্রের। সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ নম্বর বুথে ভোট বাতিল করে দিল নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনার সয়ম ব্যালট ছিনতাই হওয়ায় ফল প্রকাশ থমকে যায়। বেরাবেড়ির নেতাজি জয়ন্তী পাঠাগারে ভোট হয়েছিল ১৩ নম্বর বুথের গ্রাম সভার। নির্দল প্রার্থী দীপঙ্কর ঘোষের দাবি, তিনি ৪৬ ভোটে জিতছিলেন। গণনার সময় ব্যালট ছিনিয়ে নেন তৃণমূল প্রার্থী। বেশ কয়েকটি ব্যালট ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ৷ যদিও সেখানে পুনর্নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও জানানো হয়নি৷
উল্লেখ্য, শনিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে একদফার নির্বাচনের পর, সোমবার ফের ৬৯৬ বুথে পুননির্বাচন হয়েছিল। মঙ্গলবার শুরু হয় গণনা, শেষ হয় বুধ বিকেলে।