কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট শুরুর আগে থেকে শাসক দল যে খুব স্বস্তিতে ছিল তা নয়। এমনিতেই বেশ কিছু সময় ধরে দুর্নীতি কাণ্ডের জেরে চাপ বেড়েছে তাদের। সেই চাপ যে এখনও থাকবে তাও ঠিক। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল যে তাদের স্বস্তি কিছুটা ফিরিয়ে এনেছে তা বলাই যায়। লাগাতার অভিযোগ, হিংসা এবং অশান্তির পরিস্থিতি, বিরোধীদের আক্রমণ, সবকিছুর পরেও আপাতত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা যায়, পঞ্চায়েতে ভোট শতাংশ বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। অন্যদিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বিজেপির নিয়ন্ত্রণ যেন গ্রাম বাংলা থেকে হালকা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও গ্রামের ভোটে সমর্থন বেড়েছে শাসক শিবিরের। দেখা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। উল্টো দিকে, বিজেপি ভোট শতাংশ নেমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩ শতাংশে। সংখ্যার বিচারে তারা দ্বিতীয় হলেও এই স্থান দাবি করেছে বাম-কংগ্রেস জোটও। হিসেব অনুযায়ী, পঞ্চায়েতে সিপিএম পেয়েছে ১২.৫৬ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে ৬.৪২ শতাংশ ভোট। এর সঙ্গে আইএসএফের ভোট যোগ করলে এবার জোটের ভোট বেড়ে ২১ শতাংশ হবে। বিধানসভা ভোটে যা ছিল ১০ শতাংশ। সুতরাং এই বিরোধী দলগুলি যে ঠিক দিকে যাচ্ছে তা বলা যায়।
এই প্রেক্ষিতেই বাম শিবিরের দাবি, এই সংখ্যা অনুযায়ী তারা বিজেপির থেকে সামান্য পিছিয়ে থাকলেও বাম সমর্থিত নির্দল এবং অন্য বাম শরিকগুলির ভোট যোগ করলে সেটা বিজেপিকে টপকে যাবে। তাই বলতে কোনও বাধা নেই যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারাই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তারাই যে প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে উঠতে পারে, এমনটাও দাবি।