Breaking: সন্ত্রাস হলে জানান! এবার ‘সক্রিয়’ হচ্ছে বিএসএফ

Breaking: সন্ত্রাস হলে জানান! এবার ‘সক্রিয়’ হচ্ছে বিএসএফ

f68fc2ab3f26ef73db8841326559cc41

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট হয়ে যাওয়ার পরেও হিংসা থামছে না বাংলায়। নানা জায়গা থেকে এখনও একাধিক অশান্তির খবর আসছে। এই অবস্থায় এবার সক্রিয় হল বিএসএফ। কোথাও কোনও গণ্ডগোল হলে বা হিংসা হলে সরাসরি যেন তাদের জানান হয়, এই আবেদন করল তারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে জানান হয়েছে, সব জেলাতেই জওয়ান আছে, হিংসার কোনও খবর এলেই তারা নির্দিষ্ট স্থানে যেতে পারে। সেই খবর জানানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই জেলাভিত্তিক নোডাল অফিসারের তালিকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে বিএসএফ। 

ভোটের হিংসা এবং বাহিনী মোতায়েন নিয়ে শুরু থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তোলে বিএসএফ। জানান হয়েছিল যে, কমিশনের তরফে তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়নি। এদিন রাজভবনেও বিএসএফ-এর এক আধিকারিক গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অন্যদিকে, নবান্নেও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বিএসএফ-এর একপ্রস্ত বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, বিএসএফ, রাজ্য পুলিশ একত্রে মিলে এবার সক্রিয় হচ্ছে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস দমনে সরাসরি তারা ময়দানে নামতে উদ্যত হয়েছে। এমনিতেই ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে গণনা পর্যন্ত হিংসা দেখেছে বঙ্গ। সেসব মেটার পর আজও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। সেইসবে লাগাম দিতেই পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। 

ভোটের দিনের হিংসার জন্য অবশ্য বিএসএফ আগেই দাবি করেছিল যে, কোথায় কোথায় বুথ এবং স্পর্শকাতর এলাকা জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কমিশনের তরফে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে তারা আদালতে রিপোর্ট জমাও দেয়। কমিশন এবং রাজ্যের তরফে বাহিনীর সঙ্গে অসহযোগিতাও করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। আদালত সেটিকে সঠিক বলেও পর্যবেক্ষণ করেছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, বাহিনীকে এক জায়গায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল ভোটের দিন। ফোর্স বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসেছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য। কিন্ত তাদের সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়নি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *