হাওড়া: হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের অশোকনগর বয়েজ সেকেন্ডারি হাইস্কুলে মঙ্গলবার তখন ভোট গণনা চলছিল৷ ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১ নম্বর বুথের তৃণমূলের প্রার্থী মহাদেব মাটি হঠাৎ দেখেন তিনি হেরে যাচ্ছেন৷ চটপট বেশ কিছু ব্যালট মুখে পুড়ে চিবিয়ে গিলে ফেললেন তিনি৷ পরে অবশ্য ৫৬ ভোটে জিতেও যান। তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি একেবাপে থ৷ আদালতের নির্দেশে পুনর্নির্বাচন হবে ওই বুথে। এদিকে, এই কাণ্ড নিয়ে রসিকতা শুরু করেছে রসিক বাঙালি৷ চারিদিকে মিমের বন্যা৷
‘আপনার খাবারে ব্যালট আছে।’ টিভি চ্যানেলের এক মহিলা সাংবাদিক বুম নিয়ে এগিয়ে এলেন। (কিছুদিন আগে একটি টুথপেস্ট সংস্থা এমনই সুরে তাদের বিজ্ঞাপন তৈরি করেছিল।) কখনও আবার রেস্তরাঁর কর্মী বলছেন, ‘স্যার কী নেবেন বলুন’। কাস্টমার, ‘ডিপ ফ্রায়েড ব্যালট উইথ এক্সট্রা চিজ!’
একটি বাচ্চা আবার ব্যালট খাবে বলে বায়না জুড়েছে৷ ‘একটু ব্যালট পেপার দাও না, চেটে চেটে খাবো।’ (‘আমি তো এমনি এমনি খাই…’ এক সময় একটি হেলথ ড্রিংকসের সারা জাগানো বিজ্ঞাপনের আদলে তৈরি হয়েছে এই মিমটি।)সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এহেন মিমের ছড়াছড়ি। শুধু মিম নয়, চায়ের দোকান, পাড়ার আড্ডা, পারিবারিক ডিনার টেবিলেও চর্চার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর ব্যালট খেয়ে নেওয়ার ঘটনা৷
মহাদেব মাটির ব্যালট-ভক্ষণের ঘটনা সমাজের অরাজনৈতিক স্তরেও এখন হট কেক৷ বাচ্চারা ‘ব্যালট দাও, ব্যালট খাব’ বলে হাটপা ছুঁড়ছে৷ তরুণ প্রেমিক নাকি তাঁর প্রেয়সীকে বলছেন, ‘চলো ব্যালট ডেটে যাই।’ শোনা যাচ্ছে যুব সম্প্রদায়ের একটি অংশ নাকি ১১ জুন দিনটিকে ‘ব্যালট ডে’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি তুলেছে৷ তাঁরা মনে করছে, ঠিকমতো প্রচার পেলে এই দিনটি ভ্যালেন্টাইনস ডে’কেও হার মানাবে৷