কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের ‘বিতর্কিত’ চিঠি নিয়ে চর্চা এখনও অব্যাহত। তিনি দাবি করেছিলেন যে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাঁকে ‘চাপ’ দিচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে। কিন্তু আজ আদালতে সিবিআই যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে দাবি করা হয়েছে, এই বক্তব্য ভিত্তিহীন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এদিন সিবিআই এই রিপোর্ট জমা দেয়। একই তারা এও দাবি করেছে, এই নিয়োগ দুর্নীতি অন্তত ৩৫০ কোটি টাকার।
সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিদেশে পাচার হয়েছে, টলিউডেও লাগানো হয়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালে ৪২ হাজারের বেশি বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানতে পেরেছেন তারা। যে শিক্ষকরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া এও জানান হয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত অয়ন শীল, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি কুন্তলের সঙ্গে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র বা কালীঘাটের কাকুর আর্থিক লেনদেনের যোগ পাওয়া গিয়েছে। যদিও সিবিআই রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, সিবিআই যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে তেমন কিছুই নেই। কারা তদন্ত করছে, কী তদন্ত করছে, এর বাইরে কিছু উল্লেখ করার মতো নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর কয়েক দিন পরেই নিয়োগ কাণ্ডে ধৃত কুন্তলও প্রায় একই দাবি করেন। ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ালে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের। সেই একই নির্দেশ বহাল রাখেন হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহাও। ইতিমধ্যেই সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।