কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি এবং হিংসার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কম বা কোথাও বেশি, তবে ঝামেলা যে হয়নি এমন নয়। ঠিক যেমন নন্দীগ্রাম। এমনিতেই সারা বছরই রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনায় পরিপূর্ণ থাকে নন্দীগ্রাম। পঞ্চায়েত ভোটে থাকবে না, তা হয় না। এখানেই ভোট পরবর্তী সংঘর্ষে জখম হন ১১ জন তৃণমূল কর্মী। আজ তাদের দেখতে হাসপাতালে গেলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বুধবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ভেকুটিয়া অঞ্চল। সেই ঘটনাতেই আহত হন তৃণমূলের ১১ কর্মী। তারা এই মুহূর্তে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিন বিকেলে তাদের সঙ্গেও দেখা করতে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি সকলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি, আহতদের পরিবারের সঙ্গেও একপ্রস্ত কথা হয় তাঁর। তৃণমূলের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় বিজেপি সেদিন তাদের কর্মীদের ওপর হামলা করেছিল। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ এনেছে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে উড়েছে বিজেপির পতাকা। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসন, সবটাই তাদের দখলে গিয়েছে। অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম-১ ব্লক গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। ভোটের আগে শেষ প্রচারের দিনও তৃণমূল-বিজেপি তরজা হয় নন্দীগ্রামে। সেদিন কুণাল ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী কার্যত সম্মুখসমরে ছিলেন।