ভাঙড়: পঞ্চায়েত ভোটের আবহে আরও এক মৃত্যু ঘটল বাংলায়। ভাঙড়ে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। গত ৭ জুলাই তিনি প্রচণ্ড মারের ফলে আহত হয়েছিলেন এবং এই ঘটনায় অভিযোগ রয়েছে আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে। শনিবার স্থানীয় নেতা শওকত মোল্লা জানান, হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে ওই কর্মীর এবং ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এলাকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। যদিও আইএসএফ এই দাবি মানতে চায়নি।
তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, রড ও বন্দুকের বাট দিয়ে বিরোধীরা তাঁকে মারধর করেছিল। তারপর এলাকার বোমাবাজিতেও ওই কর্মী আহত হন গুরুতরভাবে। এমনকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। কিন্তু আইএসএফ পাল্টা দাবি করে জানিয়েছে, পারিবারিক শত্রুতা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকেই এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কিন্তু তৃণমূল সবসময়েই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ ঠেলে দেয়, এবারেও তাই করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ে ভোটের আগের দিন লাঠি, বাঁশ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতিকে মারে ৫০ থেকে ৬০ জন। ভোটের আগের রাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই রাস্তায় বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাঁকে আক্রমণ করা হয়। উল্লেখ্য, এদিনই আবার বাসন্তীতে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৩ জন ভোট হিংসার বলি হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন তা মানেনি।