ভেস্তে যাচ্ছিল বিরোধী জোট, মমতা ‘ফিল্ডে’ নামতেই মিটল আপ-কংগ্রেসের দূরত্ব

ভেস্তে যাচ্ছিল বিরোধী জোট, মমতা ‘ফিল্ডে’ নামতেই মিটল আপ-কংগ্রেসের দূরত্ব

নয়াদিল্লি: গড়ার আগেই ভাঙতে বসেছিল বিরোধী জোট৷ শেষমেষ কংগ্রেস সুর নরম করায় রক্ষে৷ মান ভাঙল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির। দিল্লি অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেস আপ-কে সমর্থনের আশ্বাস দিতেই বরফ গলে৷ ১৭ জুলাই বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে রাজি হয় দিল্লির শাসক দল৷ তবে সবটা সম্ভব হল দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৌলতে। তাঁরা হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। দিল্লি অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির মধ্যে যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল, তা আপাতত মিটল৷ না হলে উড়ান দেওয়ার আগেই মুথ খুবড়ে পড়ছিল বিরোধী জোট৷ সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর হল দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায়।

সূত্রের খবর, দিল্লি অধ্যাদেশ নিয়ে আম আদমি পার্টিকে আগাগোড়াই সমর্থন করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু, ২৩ জুনের বিরোধী জোটের বৈঠকে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়৷ যার জেরেই প্রশ্নের মুখে পড়ে বিরোধী ঐক্য। ওই বৈঠকে কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, তারা কোনও দিন কোনও ভাবেই বিজেপিকে বা বিজেপির কোনও মতাদর্শকে সমর্থন করবে না। কিন্তু কেজরিওয়াল দিল্লি অধ্যাদেশ নিয়ে বিরোধী দলগুলির সমর্থন চাইলে রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খাড়্গেরা চুপ করে থাকেন।

সেই থেকেই আকাশ ছিল গোমরা৷ শেষ ধাক্কা লাগে আপ শাসিত পঞ্জাবে একের পর এক কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারি। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে সম্প্রতি গ্রেফতার হন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ওপি সোনি। এতেই চটে কংগ্রেস৷ তেমনটাই সূত্রের খবর। 

এদিকে, বাদল অধিবেশনের আগে দিল্লি অধ্য়াদেশ নিয়ে আলোচনার কথা৷ এই বিষয়ে কংগ্রেস মুখে কুলুপ আঁটায় আম আদমি পার্টি সাফ জানা, কংগ্রেস যদি নিজের অবস্থান স্পষ্ট না করে, তাহলে বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৈঠকে যোগ দেবে না আপ। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে কেজরিওয়ালকে ফোন করে বিরোধী জোটের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানালে, তিনি ‘দেখছি-দেখব’ করে কাটিয়ে দেন।

এই চাপের পরিস্থিতিতে আসরে নামেন  নীতীশ কুমার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে বোঝান, দিল্লি অধ্যাদেশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট না করলে বিরোধী জোট দিল্লি-পঞ্জাবের মধ্য়েই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে ফোন করেন এবং কংগ্রেসকে দিল্লি অধ্যাদেশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার পরামর্শ দেন। কেসি বেণুগোপাল এই বিষয়টি স্পষ্ট করতেই রবিবার আম আদমি পার্টির তরফে জানানো হয়, তারা ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + five =