কলকাতা: রাজ্য সরকারের তরফে আনা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অভিযোগ বিগত কয়েক বছরে কিছু কম ওঠেনি। একাধিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুয়ো রোগী বা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে এই পরিষেবা থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ আছে। এছাড়া বহু রোগীকে এই কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা প্রদান না করার মতো অভিযোগও মিলেছে। এর আগে অনেকবারই সরকারের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে এই কার্ড ইস্যুতে। আবার আরও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। জানানো হয়েছে, অনিয়ম ধরা পড়লে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ‘ব্লক’ হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য দফতর এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এক বছরে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ১০ বার স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্ত অনিয়ম ঘটলেই কার্ড ব্লক হয়ে যাবে। সেখানে আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা মিলবে না। আর একই নিয়ম প্রযোজ্য চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও। অর্থাৎ, কোনও চিকিৎসকের তরফে বারবার অনিয়ম ধরা পড়লে তিনিও আর স্বাস্থ্যসাথী রোগীর চিকিৎসা করতে পারবেন না। আপাতত এই কার্ড সংক্রান্ত বেআইনি কাজ রুখতে জেলাভিত্তিক নজরদারি দল রয়েছে। কিন্তু তাতেও দুর্নীতি খুব একটা বাগে আনা যায়নি। তাই এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে এক প্রকার বাধ্যই হল প্রশাসন। তবে ভুল বা ত্রুটি কেমন? গুরুতর না ছোটখাটো? এই নিয়েও বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
আসলে স্বাস্থ্য দফতর, তিন ধরণের ত্রুটি বা অনিয়ম উল্লেখ করেছে। কোনও রোগীর চিকিৎসার আসল খরচ না দেখিয়ে মনগড়া খরচ দেখানো ‘লাল’ স্তরে পড়ছে। এর মধ্যে বারবার একই খরচ দেখানো, রোগী ভর্তির দিন বদলের মতো ঘটনাও আছে। আর রয়েছে হলুদ ও সবুজ তালিকা। তার মধ্যে তুলনামূলক কম অনিয়ম বা ভুল থাকছে।