কলকাতা: প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় একটি বহুতলের নীচ থেকে সোমবার গভীর রাতে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ওই চিকিৎসকের। তাঁর মৃত্যু কী ভাবে হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই এক কারণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। চিকিৎসকের মৃত্যুর পিছনে তাঁর বিদেশি বান্ধবীর হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। কিন্তু তা কতটা সত্যি তা নিয়ে এখনও সংশয় আছে। কারণ, পুলিশ মনে করছে বহুতলের কার্নিশ বেয়ে নামতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন ওই চিকিৎসক।
সোমবার মাঝ রাতে বহুতলের পাঁচ তলা থেকে পড়ে যান শুভঙ্কর চক্রবর্তী নামের ওই চিকিৎসক। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু কী ভাবে পড়ে গেলেন তিনি? পা ফসকে পড়েছেন নাকি মদ্যপ অবস্থায়, নাকি এটি খুনের ঘটনা, ইতিমধ্যেই অনেক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে আপাতত যা জানা যাচ্ছে তা হল, তাইল্যান্ডের ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর ফ্ল্যাটে দেখা করতে গিয়েছিলেন চিকিৎসক। সেখানে মদ্যপান করেছিলেন তিনি। তারপর কার্নিশ বেয়ে নামতে গিয়েই হয় বিপত্তি। সোজা ওপর থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু কেন হঠাৎ কার্নিশ বেয়ে নামতে গেলেন তিনি?
জানা গিয়েছে, বহুতলের মূল দরজা তালাবন্ধ দেখেই এমনভাবে নীচে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসক। মদ্যপান করে ছিলেন বলে কোনও ভাবেই নিজেকে সামলাতে না পেরেই কার্নিশ বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে যান। যদিও এই যুক্তি অনেকের হজম হচ্ছে না। পুলিশ জানতে পেরেছে, ফেসবুকে তাইল্যান্ডের এই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল চিকিৎসকের। ইনিই তাঁর বান্ধবী বলেই জানা গিয়েছে। গত মে নেপাল ঘুরে ভারতে আসেন চিকিৎসকের ওই বান্ধবী। আপাতত থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর ওই বান্ধবীকে।