কলকাতা: মারধরের অভিযোগ আছে, রক্তপাত না হলেও গুরুতর আঘাত। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে সঠিক ধারা প্রয়োগ না করার অভিযোগ উঠল। এর জেরেই থানার আইসি এবং আইওকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নদীয়ার শান্তিপুরের এই ঘটনায় বড় প্রশ্নও তুলেছে আদালত। কেন খুনের চেষ্টার অভিযোগ নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে এলাকার এক ব্যক্তির থেকে মোটা টাকা হাতানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল অন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কৃষি দফতরের গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অভিযুক্ত চার লক্ষ টাকা নেয় বলে দাবি। কিন্তু সেই চাকরি সে দিতে পারেনি। উলটে, টাকা ফেরত চাইতে অভিযুক্তের বাড়িতে গেলে মামলাকারীকে লোহার রড দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এদিকে পুলিশে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করার পর খুনের চেষ্টা মামলা করা হয়নি বরং রক্তপাত না হওয়ায় পুলিশ হালকা ধারা প্রয়োগ করে। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
পুলিশের কাছ থেকে কোনও সাহায্য না পেয়েই অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী সেলিম মালিতা। তাঁর স্বামীকে এইভাবে মারার পরেও কেন অভিযুক্তের কিছু হবে না, বা তাঁর বিরুদ্ধে কেন হালকা ধারায় মামলা হবে, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি। তার প্রেক্ষিতেই নদীয়ার শান্তিপুর থানার আইসি এবং আইওকে কেস ডায়রি সহ হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।