কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষার মান নিয়ে বরাবর কথা তুলেছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। বিরোধিতা করা হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতির। কিন্তু সরকারের এই নিয়ে যা অভিমত তার যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা এখনও মেলেনি। আজ ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষার মান নিয়ে কথা বলবেন বলে ভেবেছিল সংগঠন, কিন্তু তা হয়নি। এতে তারা হতাশ বলেই জানিয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি বা STEA জানাচ্ছে, ২১ জুলাইয়ের সভায় শিক্ষার উন্নতি নিয়ে নীরব ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর এতে তারা হতাশ। সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষের কথায়, কোন বাধ্যবাধকতার কারণে তাঁর সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি সমর্থন করেছে তা ব্যক্ত করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার প্রবর্তিত জাতীয় শিক্ষা নীতি, সুপ্রাচীন মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পর্কেও তিনি সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন। একই সঙ্গে, শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীর আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন যে বিশ্বাসযোগ্যতা ধ্বংস করেছে, তা নিয়েও তাঁর মুখ থেকে কোনও কথা শোনা যায়নি।
সংগঠনের আরও সংযোজন, সরকারি বিদ্যালয় ও সরকার পোষিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষকদের সমতুল্য কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম (CAS) কিংবা ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম (WBHS) চালু করার ব্যাপারে যেমন তিনি কথা বলেননি, বছরের পর বছর শিক্ষক নিয়োগ না করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের অসহায়তা সম্পর্কেও তিনি চুপ ছিলেন। তারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নিয়ে কখনও যে সার্ভিস প্লেসমেন্ট অথবা প্রশাসনিক বদলির মতো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা শিক্ষামন্ত্রক বা সরকারের দিশাহীনতার প্রকাশ।