নয়াদিল্লি: মণিপুর ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ চড়েছে গোটা গোটা দেশে৷ সংসদে বিরোধীরা সমষ্টিগত ভাবে কেন্দ্রকে নিশানা করার কৌঁশল নিয়েছে৷ ঠিক তখন বিরোধী অস্ত্র ভোঁতা করতে বিজেপি হাতিয়ার করেছে রাজস্থান, বাংলা বা ছত্তীসগড়কে। এই তুল্যমূল্য বিচারটা শুরু করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার সংসদে বিরোধীরা যখন মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে ধর্ণায় বসেছেন, তখন বিজেপি সাংসদরা গান্ধী মূর্তির তলায় সমবেত হয়ে স্লোগান তুললেন রাজস্থানের মহিলা অত্যাচারের বিরুদ্ধে৷ বাংলাতেও মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনাকে হাইলাইট করে সোশাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি৷ এমতাবস্থায় সংসদে দাঁড়িয়ে বিজেপি’কে নিশান করলেন তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এদিন সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘মণিপুর থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। মণিপুরের কথা বললেই রাজস্থান, ছত্তীসগড়, পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা হচ্ছে। আপনাদের যদি মনে হয়, মণিপুরের অবস্থা বাংলার চেয়ে ভাল, তাহলে ওখানে ইন্টারনেট চালু করে দিন।’’ এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক৷ মোদী-শাহকে খোঁচা দিয়ে আরও বলেন, ‘‘সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে তো দিব্যি ইন্টারনেট চলছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে ইন্টারনেট চলছে না কেন?”
জাতিগত বিদ্বেশ ও হিংসার কারণে গত তিন মাস ধরে মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে৷ সরকারের আশঙ্কা, সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ফুটেজ, ছবি বা ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়লে আরও বেশি জ্বলে উঠবে হিংসার আগুন৷ গত ৩ মে মণিপুরের ঘটনায় লজ্জায় মাথানত হয় গোটা দেশের৷ কুকি জাতির দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো হয়। পরে তাঁদের গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সরকারের আশঙ্কা, ইন্টারনেট চালু করলে আরও ভয়ঙ্কর ছবি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এখানেই বিঁধেছেন অভিষেক৷ তিনি বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, মণিপুরে যে ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে, সেটাই ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের দুরবস্থার সবচেয়ে বড় প্রমাণ৷