নয়াদিল্লি: রাজ্য স্তরে তাঁদের সম্পর্ক সাপে-নেউলে৷ তবে জাতীয় স্তরে জোট বাঁধার পর আক্রমণের ঝাঁঝ অনেকটাই কমিয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস৷ যাঁকে এতদিন প্রকাশ্যে ‘খোকাবাবু’ বলে সম্বোধন করতেন, সোমবার সেই ‘খোকা’র সঙ্গেই সংসদ চত্বরে ধর্না দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এক মঞ্চে হাজির বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো কট্টর বামপন্থী নেতাও৷
মণিপুর ইস্যুতেই সোমবার সকাল থেকেই উত্তাল সংসদ৷ এক জোট হয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলি৷ ‘ইন্ডিয়া’র ব্যানারে এককাট্টা হয়ে সংসদের উভয় কক্ষে তাঁরা মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতি দাবি করেছে৷ সেই বিক্ষোভেই আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের পাশে দেখা গেল বাংলার দুই সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং বিকাশ রঞ্জনকে। রাজ্যে তৃণমূলের তীব্র সমালোচক তথা কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর এবং সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ অভিষেক, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদারদের সঙ্গে এক যোগে গলা মিলিয়ে স্লোগান দিলেন। তবে যৌথ ধর্নায় দেখা গেল অধীর তৃণমূল সাংসদদের থেকে কিছুটা দূরে রয়েছেন। বরং তাঁর পাশে ছিলেন দক্ষিণ ভারতের কংগ্রেস সাংসদরা। আবার বিকাশের পাশে ছিলেন কেরলের তরুণ সিপিএম সাংসদ ভি শিবদাসন।
এবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি-কে বিঁধলেও কংগ্রেসকে একবারও নিশানা করেননি। সিপিএম সম্পর্কে দু’চার কথা বললেও, তা তেমন ঝাঁঝালো নয়৷। ২০২৪ এর লক্ষ্যেই সুর নরম করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সিপিএম এবং কংগ্রেস শিবিরের একাংশের কথায়, অধীর-বিকাশ যেমন তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধীদের ধর্নায় যোগ দিয়েছেন, তেমনই মমতাও কংগ্রেস এবং সিপিএম সম্পর্কে তাঁর অবস্থান ‘নমনীয়’ করেছেন। এটা ‘একতরফা’ বিষয় নয়৷