কোচবিহার: স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল সে। সেই সময়ে কয়েকজন নাবালিকা ওই ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। তারপর হয় যৌন নির্যাতন, শারীরিক অত্যাচার। এই ঘটনার কিছু দিন পরেই হাসপাতালে মৃত্যু হল ১৪ বছরের ওই কিশোরীর। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারে। স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাভাবিকভাবেই একদিকে যেমন শোকার্ত, অন্যদিকে ক্ষুব্ধ। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দাবি করেছে তারা।
গত ১৮ জুলাই স্কুল থেকে ফেরার পথে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল কয়েকজন। কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লকের খেপাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে ২-৩ দিন তার কোনও খোঁজ মেলেনি। ঘটনার ৩ দিন পর এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নাবালিকার খোঁজ পেয়েছিল পরিবার। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তার মাথায় অক্সিজেনের ঘাটতি আছে, তাই সে কোমায় চলে গিয়েছে। এরপর তাকে কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু শেষে কোনও লাভ হল না। হাসপাতালেই মৃত্যু হল ওই নাবালিকার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বিজেপি সহ বিরোধী শিবির যে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে তা তারা মানতে চাননি। পুলিশের বক্তব্য, গণধর্ষণ নয়। মূল অভিযুক্ত কিশোরীর ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। তাতেই তার মাথায় অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। পরে নাবালিকা অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় এক হাসপাতালের সামনে রেখে চলে গিয়েছিল অভিযুক্তরা।