কলকাতা: সম্প্রতি ‘পোস্টিং’ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের৷ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই মিলেছে ‘খাজানা’র খোঁজ৷ মানিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অন্তত ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ আর সেইসব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে প্রায় ৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ চার্জশিটে এমনটাই উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে জেলবন্দি তাঁর গোটা পরিবার৷ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গত সোমবারই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে ‘পোস্টিং’ দুর্নীতিকাণ্ডে দ্বিতীয় দফায় জেরা করেছে সিবিআই। প্রয়োজনে ইডি-ও তাঁকে জেরা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ইডি। এই মামলায় মানিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে গচ্ছিত সম্পত্তির হিসেব দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী অফিসারদের। মোট ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে বলে দাবি ইডি-র। আর সেইসব অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ কয়েক কোটি৷
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৩২৫ জন অযোগ্য প্রার্থীকে পাশ করাতে ৩ কোটির বেশি টাকা নিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সব মিলিয়ে তাঁর ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলেও সেই সময় দাবি করেছিল ইডি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আলিপুর আদালতে মানিকের বিরুদ্ধে আরও একটি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সেখানে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, জাল নথি তৈরির মতো অভিযোগে আনা হয়েছে৷