কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় উঠে এল মিথ্যা মামলা প্রসঙ্গ থেকে দুজন মহিলাকে বিবস্ত্র করার মতো ইস্যু। রাজ্যের বিরুদ্ধে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় ক্ষোভ জাহির করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এই পঞ্চায়েত নির্বাচন লুটের নির্বাচন, জনগণের ভোট লুট করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ২০ হাজার ভোট লুট করা হয়েছে এবং অন্তত ৪ হাজার সার্টিফিকেট বদলানো হয়েছে। এছাড়া বিজেপির একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে না দেওয়ার অভিযোগও এদিন ফের তোলেন তিনি।
সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় শুরু হয়েছে অধিবেশন। আর আজ পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ইস্যুতে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাই প্রথম থেকেই কিছুটা আক্রমণাত্মক বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাফ কথা, ত্রিস্তরীয় লুঠ হয়েছে এবার। ২৫টি ব্লক অবরোধ করে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি বিরোধীদের। এর দায় তিনি চাপিয়েছেন রাজ্য সরকারের ওপরই। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, চুপি চুপি ভোট হয়েছে এবার! ১৯৭৮ সাল থেকে ভোটে এ রকম হয়নি। আগে সর্বদলীয় বৈঠক হয়, প্রশাসনের বৈঠক হয়। ব্লক স্তরেও সর্বদলীয় বৈঠক হয়। কিন্তু এবার কিছুই হয়নি।
এদিকে আজকের এই আলোচনায় বিজেপি নেতা মনোজ টিজ্ঞা জানান, বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়পত্র জমা দেওয়া থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত বিজেপি ও বিরোধী দলের কর্মীদের জোর করে শাসক দলে যোগদানের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিজেপির তপশীলী জাতি, উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় চাপ সৃষ্টি করেছে শাসক দল। যারা মানছেন না, তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর এও অভিযোগ, দুজন মহিলাকে বিবস্ত্র করে পড়ে লকআপে বন্দ করে রাখা হয়। একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মহিলাদের ওপর আক্রমণ, নির্যাতন চলেছে ভোট আবহে।