কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় স্বস্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার প্রত্যাহারের জন্য ইডি-কে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত৷ এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিদেশ যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে ইডি-কে জানালেই হবে৷ এর আগে আদালতকে ইডি জানিয়েছিল, ২৬ জুলাই থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত বিদেশ যেতে তাঁরা অভিষেককে অনুমতি দিয়েছেন।
শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জয় কিসন কউল এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে ছিল অভিষেক মামলার শুনানি৷ এদিন অভিষেকর আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, অভিষেকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস রয়েছে কি না ইডিকে জানাতে হবে। জবাবে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটির জেনারেল তথা ইডির আইনজীবী এসভি রাজু আদালতে বলেন, অভিষেক ইতিমধ্যেই বিদেশে পৌঁছে গিয়েছেন। এর আগেও বেশ কয়েক বার তিনি বিদেশে গিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য শোনার পরই সিব্বল বলেন, তার মানে অভিষেকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস নেই।
দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারপতি কউল ইডির উদ্দেশে বলেন, কেউ বিদেশ যেতে চাইল, আপনারা অনুমতি দিয়ে দিলেন। লুক আউট নোটিসের প্রসঙ্গ চলে এলেই বুঝতে হবে, তাঁকে আটকানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দু’টি বিষয় চলতে পারে না৷ আপনারা একই সঙ্গে নিজেদের ও আদালতেরও সময় নষ্ট করছেন৷ বিতারপতি কউল আরও বলেন, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তকে সন্দেহ করার ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে হয়। সেটা থেকে সরে আসা যায় না৷ ইডি এতটা শক্তিশালী হওয়ার পরেও কেন এমনটা হচ্ছে? যদি লুক আউট নোটিস থাকে, তবে তা প্রত্যাহার করে নিন।
প্রসঙ্গ, গত সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিজেশ যাত্রা আটকানো উচিকেন লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল, ইডি-র কাছে তা-ও জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এ বিষয়ে ইডির কাছে জবাব তলব করে। সোমবার শীর্ষ আদালত ইডি-কে জানায়, “তদন্তের প্রয়োজনে বার বার সমন পাঠান৷ সুপ্রিম কোর্টের আগের নির্দেশ মতো তদন্ত করতে সমস্যা কোথায়?”