কলকাতা: ফের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জরিমানার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। পর্ষদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত এক মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পর্ষদ৷
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন উৎপল আচার্য নামে এক চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু তিনি জানতেনই না যে তিনি টেট পাশ করেছেন৷ এর ৮ বছর পর পর্ষদ একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। সেই বিজ্ঞপ্তি দেওকার পর উৎপল আচার্য নামে ওই মামলাকারী জানতে পারেন তিনি ৯০ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এরপরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। উৎপল আদালতকে জানান, ২০২০ ও ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকায় নাম থাকলেও তাঁকে ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হয়নি। আদালতের কাছে তাঁর আর্জি, তাঁকে যেন ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, মেধা তালিকায় নাম থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে প্রার্থীকে অবশ্যই ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হবে। কিন্তু উৎপল আচার্যর ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলেই অভিযোগ। তিনি আদালতে জানান, বোর্ডের গাফিলতির কারণেই তিনি এতদিন এই বিষয়টি জানতে পারেননি৷ সঠিক নম্বরও প্রকাশ পায়নি। নম্বর প্রকাশ্যে আসার পরও নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ডাক হয়নি৷
পর্ষদের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি পর্ষদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এক ভুল আর কতবার করবেন?’ বারবার একই ধরনের গাফিলতির কথা উল্লেখ করেই পর্ষদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে মামলাকারীকে এক সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউতে ডাকার নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ উৎপল ইন্টারভিউতে যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে তাঁকে চাকরির সুযোগ করে দিতে হবে পর্ষদকে।