দিঘা: উন্নয়নের নামে প্রকৃতি ধ্বংস করা হচ্ছে, যথেচ্ছভাবে কাটা হচ্ছে ঝাউবন। এমনই অভিযোগ উঠেছে দিঘাকে কেন্দ্র করে। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে অভিযোগ গিয়ে পৌঁছেছে জাতীয় পরিবেশ আদালতে। দাবি করা হচ্ছে, সমুদ্র উপকূল আইন মানা হচ্ছে না। প্রকৃতি ধ্বংসের পাশাপাশি চলছে সমুদ্র পাড়ে অবৈধ নির্মাণও। এই অভিযোগে আপাতত সরগরম সমুদ্র-নগরী।
গোটা বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। তাঁর অভিযোগ, দিঘায় ঝাউবন ধ্বংস করে একের পর এক নির্মাণ হচ্ছে। হোটেল থেকে শুরু করে দোকান, সবই বেআইনিভাবে নির্মিত হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে দিঘার মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রেরও সামাজিক পরিস্থিতি নষ্ট হচ্ছে। এমনিতেই দিঘায় এখন অত্যধিক ভিড় লক্ষ করা যায়। তার কারণ ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা একাধিক হোটেল। সেই প্রেক্ষিতেই পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন এই পরিবেশবিদ।
জানা গিয়েছে, এই মামলায় চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। ঝাউবন ধ্বংস এবং বেআইনি নির্মাণের বিষয়ে তারা তদন্ত করবে। এই তদন্তের জন্য আগামী এক মাসের সময় নির্ধারিত হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৯ আগস্ট। সেদিন ওই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।