কলকাতা: উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, বেঙ্গালুরুর মতো জায়গায় যখন ফুড ডেলিভারি বয়দের উপর মারধরের ছবি সামনে আসছে, তখন তাঁদের জন্য বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ বর্তমানে রাজ্যে ফুড জেলিভারি কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চলেছে রাজ্য।
খাওয়া-দাওয়া থেকে কেনাকাটা, অধিকাংশ মানুষই এখন অনলাইনের উপর নির্ভরশীল৷ ডেলিভারি বয় বা গার্লরা কখনও মোটরবাইক, কখনও আবার সাইকেলে ঘুরে ঘুরে অর্ডার করা জিনিস ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে আসেন। জীবন-জীবিকার তাগিদে, রোদ-জলে ভিজে, নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হয় তাঁদের। অসংগঠিত শ্রেণির এই কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরেই ভাবনাচিন্তা করছিল রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে যথাযথ পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছেন শ্রমদফতরের আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, ডেলিভারি কর্মীদের সুরক্ষার জন্য পৃথক একটি ওয়েলফেয়ার বোর্ড গঠন করা হবে। তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য করণীয় দিকগুলি সুনিশ্চিত করবে এই বোর্ড। এঁদের জন্য কল্যাণ তহবিলও তৈরি করা হবে বলে সূত্রের খবর। অন্যান্য অসংগঠিত শ্রেণির কর্মীদের মতো তাঁরাও যাতে বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধাগুলি পান, তা নিশ্চিত করবে রাজ্য সরকার।
নবান্ন সূত্রে খবর, শুক্রবার এই সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। নবান্ন এতে চূড়ান্ত সিলমোহর দিলেই তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মাঠে নামবে শ্রমদফতর।
প্রশাসনিক স্তরে এই ডেলিভারি কর্মীদের ‘গিগ ওয়ার্কার’ বলা হচ্ছে। যাঁদের নির্দিষ্ট কোনও নিয়োগকর্তা নেই, তাঁদেরই গিগ ওয়ার্কার বলা হয়ে থাকে। এঁদের অধিকাংশই কমিশনের ভিত্তিতে কাজ করে থাকেন৷ এরা পুরোপুরি অসংগঠিত শ্রমিক। তাই এঁদের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গিগ ওয়ার্কার্স নামেই করা হবে৷