মালিকানা চুক্তির কার্যকরের সময় পার, মাস্কের হাতছাড়া হচ্ছে টুইটার?

মালিকানা চুক্তির কার্যকরের সময় পার, মাস্কের হাতছাড়া হচ্ছে টুইটার?

ওয়াশিংটন: চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মোটা টাকার বিনিময়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার টুইটারের ৪০ শতাংশ মালিকানা কিনেছিলেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। টুইটারে সেই মালিকানা হস্তান্তরের খবর নিজেই দিয়েছিলেন মাস্ক। কিন্তু তারপরেও টুইটারের এই মালিকানা নিয়ে হয়েছে বিস্তর জলঘোলা। টুইটার কর্তৃপক্ষের জমা দেওয়া বেশকিছু নথির সঙ্গে আসল তথ্য না মেলায় এবং টুইটারের ভুয়ো গ্রাহকসংখ্যার তথ্য মাস্ককে সঠিকভাবে না জানানোর কারণে আপাতত স্থগিত মালিকানা হস্তান্তরের কাজ। এমতাবস্থায় জানা যাচ্ছে, মালিকানা হস্তান্তরের মেয়াদ কথা ওয়েটিং পিরিয়ড শেষ হয়েছে। গত শুক্রবারই একথা জানানো হয়েছে টুইটার সংস্থার তরফ থেকে। আর তারপরই মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন। একাংশের মত, চুক্তি হস্তান্তরের সময় পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত মালিকানা চুক্তি কার্যকর হয়নি। আর তাই মাস্কের হাতছাড়া হতে পারে টুইটারের মালিকানা। জলে যেতে পারে এই ধনকুবেরের ৪৪০০ কোটি ডলার।

উল্লেখ্য গত এপ্রিলে এই ৪৪০০ কোটি ডলারের বিনিময়েই টুইটার সংস্থার ৪০ শতাংশ কিনে নেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক। কিন্তু এত বড় সংস্থার প্রচুর শেয়ার গ্রহীতা এবং আংশিক মালিকানা থাকার কারণে মাস্কের হাতে মালিকানার সম্পূর্ণ হস্তান্তরিত হতে বেশ কিছু সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছিল। এমনকি মাস্কের হাতে টুইটার পুরোপুরি আস্তে চলতি বছরের শেষ অবধি সময় লাগবে বলেও জানানো হয়েছিল সংস্থার তরফ থেকে। এরপরই টুইটারের ভুয়া গ্রাহক সংখ্যা প্রসঙ্গে টুইটার কর্তাদের একাংশের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মালিকানা অধিগ্রহণে বেঁকে বসেন মাস্ক। মে মাসেই তিনি জানান স্প্যাম এবং ভুয়ো অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বিশদ তথ্য না দিলে এই চুক্তির কাজ কিছুতেই এগোবে না। এমতাবস্থায় শুক্রবার টুইটার সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে HRA আইন অনুযায়ী, ৪৪০০ কোটি ডলারের ওই মালিকানা চুক্তির ওয়েটিং পিরিয়ড শেষ হয়ে গিয়েছে। এখনো যদি এই চুক্তির কাজ পাকাপাকিভাবে সম্পন্ন না করা হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে। আর তাই টুইটারের স্টক হোল্ডার ও রেগুলেটরির থেকে এখনই অনুমতি নেওয়া আবশ্যক বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। উল্লেখ্য, হার্ট স্কট রেটিনো আন্টিট্রাস্ট ইমপ্রুভমেন্ট আইন তথা HRA আইন অনুযায়ী, বিপুল অর্থের কোন চুক্তির লেনদেনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেটা ফেদেরাল ট্রেড কমিশন ও মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনের কাছে পর্যালোচনা জন্য পাঠাতে হয়। চুক্তি হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই কাজটি সম্পন্ন করতে হয়। কিন্তু ইলন মাস্কের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত এই অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে কোনো সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি। আর তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি স্টক হোল্ডার রেগুলেটরির অনুমতি না নেওয়া হয় তাহলে টুইটারের মালিকানা হাতছাড়া হতে পারে মাস্কের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − thirteen =