এবার হাত ধরে র‍্যাম্পে হাঁটলেন শোভন-বৈশাখী! নতুন রূপে শহরের বুকে ‘রোম্যান্টিক জুটি’

এবার হাত ধরে র‍্যাম্পে হাঁটলেন শোভন-বৈশাখী! নতুন রূপে শহরের বুকে ‘রোম্যান্টিক জুটি’

কলকাতা: শহরের বুকে যখনই রোম্যান্সের প্রসঙ্গ ওঠে, তখনই চলে আসে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম৷ তাঁরা যেন এযুগের আইডিয়াল লাভ বার্ডস৷ যখনই তাঁরা যুগলে সামনে এসেছেন, তখনই তা ভাইরাল হয়েছে৷ তাঁদের নিয়ে যতই সমালোচনা হোক না কেন, শোভন-বৈশাখীর জুটি হিট৷ তাঁদের নিয়ে চর্চারও অন্ত নেই৷  এবার তাঁরা একসঙ্গে পা মেলালেন ব়্যাম্পে৷ শহর কলকাতায় সদ্য আয়োজিত এক ব়্যাম্পে শো-তে দেখা মিলল দু’জনার। তাহলে কি এবার ফ্যাশন দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছে এই জুটি?

সম্প্রতি কলকাতায় ট্র্যান্সজেন্ডারদের নিয়ে একটি ফ্যাশন শো-এর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শোভন আর বৈশাখী। এদিনও তাঁরা ধরা দিয়েছিলেন রং মিলান্তি পোশাকে৷ প্রাপ্তি ঝুলি এখানেই পূর্ণ হয়নি৷ এর পর একসঙ্গে জুটি বেঁধে ব়্যাম্পেও হাঁটেন তাঁরা। বৈশাখী বলেন, ‘আমার মনে হয় ট্রান্সজেন্ডাররা মানসিকতা, আধুনিকতার দিক থেকে অনেক এগিয়ে। এরকম একটা কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা খুব আনন্দিত।’

এদিন রং মিলান্তি পোশাক নিয়ে শোভন বলেন, ‘দেখুন যত মত তত পথ। এত মানুষ আছে, একেক রকম কথা তো বলবে। হাঁসের মতো জলটা সরিয়ে দুধটা নিয়ে নিতে হবে। যাকে কথায় বলে দুধকে দুধ পানিকে পানি হয়ে যাওয়া। সেভাবেই আমাদের চলা।’

এদিনের অনুষ্ঠানে ছিল আরও চমক৷ ব়্যাম্পে দেখা যায় তৃণমূলের কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকেও। তিনি এদিন বলেন, ‘এই ট্র্যান্সজেন্ডাররা অনেক লড়াই করছে। এরা তাঁদেরকে সেই জন্য পুরস্কৃত করছে। আমাকে অনেকেই বলবে, রাজনীতি করে ব়্যাম্পে হাঁটছেন কেন? আমি বলব, আমরা তো মিছিলে হাঁটি। মিছিলের থেকে বড় ব়্যাম্প আর হয় না। তাহলে মিছিলে হাঁটতে পারলে ব়্যাম্পে হাঁটতে পারব না কেন?’

বিগত কয়েক বছর ধরেই একসঙ্গে থাকেন শোভন আর বৈশাখী। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভনের বিচ্ছেদ না হলেও, ইতিমধ্যেই বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র৷ বৈশাখী ও তাঁর আগের পক্ষের একমাত্র কন্যা মহুলের সঙ্গেই থাকেন শোভন। যদিও প্রাক্তন স্বামী মনোজিতের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বৈশাখীর। শোভন আইনি বিচ্ছেদ পেলেই ফের বিয়ে করবেন তাঁরা। সিঁদুর পরানো হয়ে গেলেও এবার আইনি স্বীকৃতিও দিয়ে যেতে চান বান্ধবীকে। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − seven =